কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
- 15 Jul 2024
- Best Doctor List
কিডনি রোগ হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে কিডনি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি নির্গত করার মাধ্যমে রক্ত পরিশোধিত রাখে।
কিডনি রোগের সাধারণ লক্ষণ
কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। নিম্নলিখিত কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে:
অতিরিক্ত ক্লান্তি
কিডনি সমস্যা হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব ঘটে, যার ফলে অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
মূত্রের পরিবর্তন
কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো মূত্রের রঙ ও ঘনত্বের পরিবর্তন। মূত্রের পরিমাণ কমে গেলে বা রঙ গাঢ় হয়ে গেলে কিডনি সমস্যার সংকেত হতে পারে।
শরীরের ফুলে যাওয়া
কিডনি ঠিকমত কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে যেতে পারে, যার ফলে পা, পায়ের গোড়ালি, মুখমণ্ডল ফুলে যেতে পারে।
ত্বকের সমস্যা
কিডনি সমস্যা থাকলে শরীরে বর্জ্য পদার্থ সঠিকভাবে বের না হওয়ার কারণে ত্বকে চুলকানি এবং র্যাশ হতে পারে।
পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব
কিডনি রোগের কারণে পেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
কিডনি রোগের কারণ
কিডনি রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। নিম্নলিখিত কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে:
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। এটি কিডনির ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলিতে ক্ষতি করে এবং কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস কিডনি রোগের প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। রক্তে উচ্চ মাত্রার গ্লুকোজ কিডনির ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলিতে ক্ষতি করে।
পারিবারিক ইতিহাস
যদি আপনার পরিবারের কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে আপনারও কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি।
ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিডনি রোগের প্রতিরোধ
কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে। নিম্নলিখিত কিছু পরামর্শ মেনে চললে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
পর্যাপ্ত পানি পান
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন যাতে কিডনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এবং কিডনি কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করান।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান পরিত্যাগ করুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
সুস্থ ওজন বজায় রাখুন এবং অতিরিক্ত ওজন এড়িয়ে চলুন।
প্রসাবের রাস্তায় পাথর লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন?